মহাসড়কে যানজটের অন্যতম কারণ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা-ভ্যান,বন্ধের সিদ্ধান্ত
শেখ রাজীব হাসান,গাজীপুরঃ
করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশের ন্যায় গাজীপুরে লকডাউন কার্যকর করতে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন কাজ করছে গাজীপুর জেলা ও মহানগর পুলিশ। তবে সকল নির্দেশনা অমান্য করে মহাসড়ক থেকে শুরু করে সকল অলিগলিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারি এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা ।
সরকার ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোববার (২০ জুন) সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন,এ বিষয়ে খুব দ্রুত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হবে।
প্রসঙ্গত,দূরপাল্লার যানবাহনসহ সব ধরনের গণপরিবহনের যাতায়াতে বিগ্নতা সৃষ্টি করছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকাশা,লেগুনা। এসমস্ত ব্যাটারি চালিত যানবাহনের চালকরা মহাসড়কে প্রায় বেপরোয়া হয়ে গাড়ী চালানোর কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ব্যাটারি চালিত যানবাহনের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের আব্দুল্লাহপুর, স্টেশন রোড, চেড়াগআলী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন গেইট,গাজীপুরা,বোর্ডবাজার,মালেকের বাড়ী,বাইপাস,চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার তীব্র যানজট দেখা যায় প্রতিনিয়ত। অপরদিকে ঢাকা-কালীগঞ্জ মহাসড়কে স্টেশনরোড এলাকায় টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের সামনে গড়ে ওঠা অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড,টঙ্গী পূর্ব থানার সামনে গড়ে ওঠা অবৈধ অটো রিকসা ও টেম্পু স্ট্যান্ডের কারণে তীব্র যানযট দেখা যায়।এছাড়া আমতলী,টিএনটি বাজার,শিলমুন, মাজুখান ও মীরের বাজার এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় অধিক অটো রিক্সা ও ইজিবাইকের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরিবহন যাত্রীরা জানান, আমাদের গাজীপুর দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল হিসেবে এখানে রয়েছে অন্তত দুই হাজারের অধিক পোশাক কারখানা। লকডাউনে নিজস্ব পরিবহন দিয়ে এসব কারখানায় শ্রমিক আনা নেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কারখানার মালিকরা তা মানছেন না। ফলে পেটের দায়ে শ্রমিকরা সকাল থেকে পায়ে হেঁটে বা গনপরিবহনে করে নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
একটি পোশাক কারখানার অপারেটর মাহমুদা বেগম জানান, টিএনটি থাকি মাঝুখান এলাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করি। মালিক যাতায়তের জন্য কোনো পরিবহনের ব্যবস্থা করেনি। তাই রিকশা ভ্যানে করে গার্মেন্টসে যাই তবে অটোরিকশা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশী তাই রাস্তায় প্রচুর জেম হয়। টিক সময়ে যেতে না পারায় এর আগে বহুবার চাকরি চলে গেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চলাচলকারী এনা পরিবহনের একজন দ্রাইভার জানান,দীর্ঘ ১৭বছর যাবত এই রুটে পরিবহনের সাথে আছি। পূর্বে কখনো এমন যানজট দেখা যায়নি। গত দুই-তিন বছর যাবত অটোরিকশার কারণে যে পথ যেতে চার ঘন্টার বেশী সময় লাগতোনা সেই পথ এখন সাত থেকে আট গন্টায় যাওয়া সম্ভব হয় না।